সম্প্রতি ধর্ষণ ঘটনার অপরাধী
লিখেছেন লিখেছেন মোঃ মোরশেদুল আলম আরিফ ১৬ মে, ২০১৭, ০৭:৫৩:২২ সন্ধ্যা
আসসালামু আলাইকুম।
চারপাশে ধর্ষণ নিয়ে কথা হচ্ছে। তাই আমিও কিছু বলি। ধর্ষকদের বিচার হোক এটা আমি মনে প্রাণে দাবি করি।
কিন্তু...................................
তেতুল তত্ত্ব আশাকরি আপনারা সবাই জানেন। কারো কাছে এটা ভুল তত্ত্ব আবার কারো কাছে সঠিক তত্ত্ব।
# যে মেয়ে দুইজন ধর্ষণের স্বীকার হল তাদের ধর্ম কি?
(ভাই গালি দিয়েন না আমাকে। আমি ক্ষ্যাত এটা আমি জানি। কেননা যেকোন ব্যাপারে ধর্মকে প্রথমে প্রধান্য দেওয়ার দুর্বলতা আছে আমার।)
# মুসলিম মেয়ে বা ছেলের কাজ কি!
সারারাত পার্টি করা।
দেখুন আপনি যদি মুসলিম পরিবারের ছেলে কিংবা মেয়ে হয়ে থাকেন তাহলে আমাকে বলেন যে ইসলামের কোন জায়গাতে পার্টি করা জায়েজ আছে? যখন আপনি আপনার ধর্মের নিয়মকানুন মেনে চলতে পারেন না তাহলে কেন আপনি আপনার পরিচয় আস্তিক হিসাবে দিচ্ছেন? আমার কাছে আপনার চেয়ে নাস্তিক উত্তম। শরীরের অঙ্গ প্রদর্শনকে আধুনিকতার নাম দিবেন না। কেননা ঘরে আমাদের সবার মা বোন আছে। আমরা কখনো চাইবো না আমাদের মা বোন অঙ্গ প্রদর্শন নামক আধুনিকতায় যুক্ত হোক।
সম্প্রতি যে ঘটনাটা ঘটে গেল সেই ঘটনার অপরাধী ধর্ষক, ধর্ষিতা এবং তাদের পরিবার।
# ধর্ষক > ধর্ষণ করার কারণে অপরাধী।
# ধর্ষিতা > তারা তাদের ধর্মের নিয়ম পালনে ব্যর্থ। যার কারণে তারা ধর্মের চোখে অপরাধী।
# পরিবার > ধর্ষক এবং ধর্ষিতার পরিবার নিজেদের দায়িত্ব ঠিকভাবে পালন করে নাই। যার ফলে তাদের সন্তান খারাফ কাজের দিকে চলে গেছে। তাদের এই অবহেলা আজ তাদেরকে অপরাধী বানিয়ে দিল।
ধর্ষকদের শাস্তি দাবি করছি এবং সেই সাথে মুসলিম নারী ও পুরুষদের ইসলামের নিয়মকানুন মেনে চলার প্রতি অনুরোধ করছি। কেননা আমার মতে এটাই একমাত্র এবং উপযুক্ত উপায় ধর্ষণমুক্ত বাংলাদেশ গড়তে।
সবার সুস্থতা কামনা করি। আসসালামু আলাইকুম।
বিষয়: বিবিধ
১০১১ বার পঠিত, ৫ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
প্রথমেই বলে রাখি - যেটা হয়েছে সেটা শরিয়ত মোতাবেক খারাপ কাজই হয়েছে ।
এখানে আপন জুয়েলার্সের মালিকের ছেলে ও তার সাঙ্গপাঙ্গরা দোষী - এতেও কোন সন্দেহ নেই ।
কিন্তু কথা হচ্ছে - এসব হাই ফাই এলাকায় জন্মদিন বা পার্টিতে যে এরকম আধুনিক (!) ক্রিয়াকলাপ হয় সেটা ঐ দুই বিশ্ববিদ্যালয় তরুনী যে জানতো না এটা কেন আমরা বিশ্বাস করে যাচ্ছি ?
ঐ মেয়ে দুজন দাবী করেছে যে তারা খুব চিৎকার করছিল আর হোটেল কর্তৃপক্ষ বলেছেন যে তারা এমন কিছু শোনেনন নি বরং তরূনীদ্বয় পরদিন সকাল বেলা হাসিমুখেই বের হয়ে গিয়েছে।
ইউটিউবে তরুনীদ্বয় যেরকম সাবলীলভাবে কথা বলছিলেন , অভিযোগ হানছিলেন এবং আরেক বন্ধুকে দোষারোপ করছিলেন যে ঐ ছেলে পারতো তার বাবাকে ফোন করে মেয়েদেরকে উদ্ধার করার ব্যবস্থা করতে - ব্যাপারগুলো এতটা ইজিভাবে বলতে পারার কথা না ।
আর তারা অভিযোগ করেছে প্রায় মাস খানেক পর। এতদিনে ধর্ষণের ধস্তাধস্তির চিন্হ এবং ধর্ষকদের বীর্য ওদের যোনী পথে থাকার কথা না - যা খুবই গুরুত্বপূর্ণ ইভিডেন্স হতে পারতো ।
ধর্ষনের কেস এর খুব গুরুত্বপূর্ণ ইভিডেন্সগুলো যে মাস পেরিয়ে যাবার ফলে মিলিয়ে গিয়েছে সেটা কি তরুনীরা বুঝতে পারে নি অভিযোগ করার সময় ?
ধর্ষকেরা তাদের বিরুদ্ধে তরুনীদ্বয় যে অভিযোগ হেনেছে তাতে অবাক হয়েছে কারণ , তারা নাকি এটাকে ধর্ষণ মনে করে নি কারণ আরও অনেক মেয়ের সাথে নাকি এরকম করেছে ।
তাহলে ঐসব ঘটনা কেন সামনে আসলো না ?
শরিয়তবিরোধী এসব কর্মকান্ড এখন আমাদের দেশে ডাল ভাত হয়ে গেছে । নারী ও পুরুষের বিবাহবহির্ভূত অবাধ মেলামেশা এখন একটু বেশীই স্বাভাবিক ।
গুলশানের মত এরকম অভিজাত এলাকাগুলোতে পার্টি জন্মদিন মানেই এসব নোংরামী কাজের পসরা । এগুলোতে ধর্ষক ও ধর্ষিতা (তথাকথিত) উভয়েই লাভবান হয় । এমনও তো হতে পারে সেরকম কিছুই হয়েছিল । এটা কি খুব ফিউচারিস্টিক কথা যে এখনকার তথাকথিত আধুনিক মেয়েরা এসব কাজকে পেশা হিসেবে নেয় নি ? বিশ্ববিদ্যালয়ের মেয়েদের বরং এসব কাজে ভাল রেট পায় ।
হয়ত এরকম কিছুই ঘটেছিল রেইনট্রিতে । কিন্তু চাহিদা মোতাবেক পারিশ্রমিক না আসাতে এখন সেটা ধর্ষনের কালার দেওয়া হয়েছে । হ্যাপি রুবেলকে কিন্তু এরকম কিছু একটাটে ফাঁসাতে চেয়েছিল।
হতে পারে জুয়েলারী ব্যবসার আড়ালে স্বর্ণ চোরাচালানের কাজে নিয়োজিত আপন জুয়েলার্সের মালিককে টেক্কা দিতে কেউ বিশ্ব বিদ্যালয়ের দুই তরুনীকে দিয়ে খেলা খেলছে , কারণ বিচার শুরু হয় নি তবে আপন জুয়েলার্সের শাখাগুলোতে কিন্তু তালা লাগতে শুরু করেছে । ট্যাক্সাররা ভালই হাতানোর সুযোগ পেয়েছে ।
আপন জুয়েলার্সের মালিকের ছেলেকে হয়ত বলা হয়েছে পুলিশের মাইর থেকে বাচার জন্য অভিযোগ স্বীকার করে নিতে । পুলিশের রিমান্ড থেকে আদায়কৃত স্বীকারোক্তি নাকি আদালতে ইভিডেন্স হিসেবে খুব একটা বেইল পায় না ।
আমিও চাই এটার বিচার হোক । আসলেই এটা ধর্ষন ছিল নাকি চাহিদা না মেটাতে কাহিনী ফাঁদা হয়েছে?
ব্লগটাতে নিত্য নতুন ফাঁপড় আসাতে অনেকেই ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও লগইন করতে পারে না ।
পোস্টের চেয়ে আমি বরং মন্তব্য করতেই কমফোর্ট ফিল করি।
ব্লগে যদি আমার কমেন্টগুলো ফলো করেন তাহলে দেখবেন আমার কমেন্ট বেশ বেখাপ্পা ধরনের যা পোস্টদাতার গুন গ্রাহীরা তো বটেই পোস্ট দাতা নিজেও পছন্দ করবেন না । আর আমি তথাকথিত নারীপ্রেমী নই , বরং নারীবিদ্বেষীই ( বিশেষ বিশেষ স্টেজে)।
আমাদের সমাজে নারী ও পুরুষ ঘটিত কোন কুকাজ সংঘটিত হলে সবাই চোখ বুজে পুরুষকে দোষারোপ করে । নারীর একটা মিথ্যা কথা এখানে হাজারটা পুরুষের হাজারটা সত্যের চেয়েও বেশী আমলে আসে। সারাদেশের মানুষদের সমস্ত সিমপ্যাথী তার উপর চলে আসে ।
আইনও তার ফেভারে করা। ফলে একটা সহবাসকে কায়দামত ধর্ষণের কালার সে সহজেই দিতে পারে। পরিস্থিতি এমন যে একজন স্ত্রীও নাকি পারবে তার স্বামীর বিরুদ্ধে এরকম অভিযোগ হানতে!!
আমার কথা হচ্ছে - তালি কিন্তু এক হাতে বাজে না । মজা লুটেছে দুপক্ষই - একজন টাকার বিনিময়ে সেক্স করে আরেকজন সেক্সের বিনিময়ে টাকা পেয়ে ।
কারণ বিশ্ব বিদ্যালয় তরুনীদ্বয়কে সেখানে জোর করে নিয়ে যাওয়া হয় নি এবং পরের দিন সকালে তারা হাসিমুখে বের হয়ে আসে।
মজা তো হবে তখন যখন বিচার কার্য শুরু হবে । দুই পক্ষের উকিলেরা যখন ক্রস এক্সামিন করবে । দেখার বিষয় হবে যেসব মিডিয়া এখন এত বাগাড়ম্বর করছে বিচার কার্যের খবরাখবর তারা কেমন টেলিকাস্ট করে। নাকি ২য়/৩য় বা ৪ এর পাতার একবারে ভাঁজের কোনায় দায়সারাভাবে রাখে?
এরকম ঘটনায় যদি কোন পুরুষ সাফারার হয় সেটা কি কখনও জন সমক্ষে আসে বা আসলেও সেটাকে কি আমলে নেওয়া হয় যেমনটা নেওয়া হয় নারীদের বেলায়?
নারী-পুরুষের পারষ্পরিক সমঝোতাপূর্ণ সহবাসকে নিয়ে এরকম অভিযোগ , মামলায় একতরফাভাবে নারীকে ধোয়া তুলসী পাতা বলতে আমি কেন জানি পারি না ।
'' নারীর ছলনা ভয়ংকর'' সূরা ইউসূফ ।
মন্তব্য করতে লগইন করুন